কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি : A to Z

384
article image

আকর্ষণীয়, সাবলীল এবং তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট যেমন - ভিডিও, অডিও, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ইত্যাদি তৈরি করে তা দ্বারা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রমোশন চালানোকেই মূলত কন্টেন্ট মার্কেটিং বলা হয়। কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যদি একটি বৃত্ত হয়, তাহলে কাস্টমাররা হবেন সেই বৃত্তের মধ্যবিন্দু। কাস্টমারদের চাহিদা, সমস্যা, প্রয়োজন, আকাঙ্কা ইত্যাদি রিলেটেড কন্টেন্ট তৈরি করে তা দ্বারা প্রোডাক্ট প্রমোট করলে ব্র্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন বৃদ্ধি পায় এবং পজিটিভ ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি হয়।

Key Points

  • কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির আল্টিমেট গোল হচ্ছে নিজেদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানো, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং ফাইনালি সেলস বৃদ্ধি।
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর মূল হচ্ছে উদ্দেশ্য হচ্ছে কাস্টমারদের এক্সট্রা ভ্যালু অফার করা।
  • ফেসবুক বা ইউটিউবের জন্য ইনফরমেটিভ পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের কাজে লাগানো যায়।
  • কন্টেন্টে আপনি যেই সমাধানগুলো দিচ্ছেন, সেগুলো যেন আসলেই ইফেক্টিভ হয় এবং আপনার কাস্টমাররা যেন কন্টেন্ট দ্বারা উপকৃত হন।

ভূমিকা

ডিজিটাল স্পেইসে নিজেদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনেকেই প্রমোট এবং বিক্রয় করতে চাইছেন। তাই অনলাইনে যেখানেই চোখ পরে শুধু অ্যাড আর অ্যাড। এতো এতো অ্যাড দ্বারা কাস্টমাররা যখন বিরক্ত, তখন আপনার প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডকে হাইলাইট করার জন্য আপনি কি করতে পারেন? উত্তরটি হচ্ছে - একটি মানসম্মত কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্যাটেজি তৈরি করা।

নিজেদের কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি যদি শুধু প্রোডাক্ট বা সার্ভিসকে প্রমোট না করে তার পাশাপাশি কাস্টমারদের সাথে বিভিন্ন ইনফরমেশন বা সল্যুশন শেয়ার করেন, তাহলে এতো অ্যাডের মাঝেও কাস্টমাররা আপনার কন্টেন্ট দেখবেন এবং তার সাথে এনগেইজড হবেন।

কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কী?

সহজ ভাষায় বললে, বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট যেমন - অডিও, ভিডিও, ব্লগ ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদের পণ্য বা সেবার প্রচার করাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং। আর যেসব পন্থায় এই মার্কেটিং করা হবে তাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির আল্টিমেট গোল হচ্ছে নিজেদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে কাস্টমারদের জানানো, পণ্য বা সেবা সম্পর্কে তাদের আগ্রহ বৃদ্ধি এবং ফাইনালি সেলস বৃদ্ধি।

কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কেনো গুরুত্বপূর্ণ?

ওপেন মার্কেট ইকোনমিতে মার্কেটে প্রচুর পরিমাণে প্রোডাক্ট থাকে। কিন্তু সব প্রোডাক্ট সম্পর্কে কাস্টমারদের জানাশোনা থাকে না এবং কোন প্রোডাক্টের কি বিশেষত্ব, তা বেশিরভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না। কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানানোর একটি উপায় তৈরি হয়। তবে কন্টেন্ট মার্কেটিং কিন্তু শুধু অ্যাড তৈরির মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়।

নিজেদের ফিল্ড অথবা প্রোডাক্ট রিলেটেড বিভিন্ন ইনফরমেটিভ কন্টেন্ট তৈরি করেও কাস্টমারদের প্রোডাক্টের প্রতি আগ্রহী করা যায়। এতে করে কাস্টমাররা নিজেদের সমস্যা ও তার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারে।

সর্বোপরি, কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর মূল হচ্ছে উদ্দেশ্য হচ্ছে কাস্টমারদের এক্সট্রা ভ্যালু অফার করা। এতে করে তারা প্রোডাক্ট বা ব্র্যান্ডের সাথে আরো ডিপলি কানেক্ট করতে পারেন। ফলাফল হিসেবে ব্র্যান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়।

ব্লগ, অডিও, ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে ডিজিটাল স্পেসে আরো বেশি প্রেজেন্স তৈরি করা যায়। এতে করে কাস্টমাররা আপনার ব্র্যান্ডের নাম আরো বেশি জায়গায় দেখতে পান এবং আপনার ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ক্রয় করার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়।

বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট মার্কেটিং

আপনার ব্র্যান্ডের মার্কেটিং-এর জন্য আপনি বিভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট সিলেক্ট করতে পারেন।

১। ব্লগ কন্টেন্ট মার্কেটিং

আপনার অফিশিয়াল ডোমেইনের সাথে একটি ডট ব্লগ সাবডোমেইন নিয়ে সেখানে আপনার ব্র্যান্ড বা প্রোডাক্টের সাথে রিলেটেড বিভিন্ন ইনফরমেটিভ ব্লগ পোস্ট করতে পারেন। প্রপার এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসবে এবং একই সাথে আপনি আপনার প্রোডাক্টের প্রমোশন করতে পারবেন। উদাহরণ হিসেবে টেন মিনিট স্কুলের এই ব্লগটি দেখতে পারেন।

২। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট মার্কেটিং

ফেসবুক বা ইউটিউবের জন্য ইনফরমেটিভ পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ারদের কাজে লাগানো যায়। মানুষ এখন যেহেতু দিনের সিংহভাগ সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় খরচ করেন, তাই এই স্ট্র্যাটেজি অনেক বেশি ইফেক্টিভ হয়ে উঠেছে। যেমন - টেন মিনিট স্কুল প্রায়ই তাদের ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ ক্লাসের আয়োজন করে, যেখানে প্রচুর এনগেইজমেন্ট পাওয়া যায়।

৩। পডকাস্ট মার্কেটিং

বাংলাদেশে পডকাস্ট এখনো তেমন জনপ্রিয় হয়ে না উঠলেও, উন্নত বিশ্বে পডকাস্ট এখন বিশাল এক ইন্ডাস্ট্রি। তাই অনেক ব্র্যান্ড নিজেদের পডকাস্ট লঞ্চ করার মাধ্যমে প্রোডাক্টের প্রমোশন চালাচ্ছে।

৪। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

ভালোমানের কন্টেন্ট তৈরি করলেও অনেকসময় তা অর্গানিক রিচ পায় না। তাই প্রয়োজন অনুসারে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হতে পারে এই সমস্যার সমাধান। যেমন -

কিভাবে কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করবেন?

সহজ কিছু স্টেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডের কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে ফেলতে পারেন।

১। বাজেট নির্ধারণ করুন

যেকোনো প্রোডাক্ট তৈরি করতে গেলে তার পেছনে বিনিয়োগ করতে হয়। যেকোনো ধরণের কন্টেন্ট’ও একধরণের প্রোডাক্ট। এই প্রোডাক্ট তৈরি করতে চাইলে আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের পরিমাণ ব্র্যান্ডভেদে ভিন্ন হতে পারে। আবার আপনি এই স্ট্র্যাটেজির উপর ঠিক কতোটা গুরুত্বারোপ করতে চাইছেন তার উপরেও বাজেট নির্ভর করবে।

এই স্ট্র্যাটেজির উপর বেশি নির্ভর করতে চাইলে বেশি বিনিয়োগ করবেন, আবার কম নির্ভর করতে চাইলে কম বিনিয়োগ করবেন। শুধু এইটুকু মনে রাখতে হবে যে কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ঠিক সফল হবে কি না এইটা শুধু বড় বাজেটের উপর নির্ভর করে না। বরং আপনি আপনার বাজেটের যথাযথ ব্যবহার করতে পারছেন কি না তার উপরেও নির্ভর করে।

২। কন্টেন্ট মার্কেটিং টিম তৈরি করুন

যিনি যেই কাজে পারদর্শী, তাকে সেই কাজ করতে দিতে হবে। যিনি সেলসে পারদর্শী, তাকে যদি আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর দায়িত্ব দিয়ে দেন, তাহলে সম্ভাবনা আছে যে ফলাফল ভালো হবে না। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং-এর জন্য আপনাকে একটি প্রফেশনাল টিম বিল্ড করতে হবে যারা এই কাজে পারদর্শী।

টিমে কতোজন মানুষ থাকবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন স্ট্র্যাটেজি বেছে নিচ্ছেন তার উপর। আমরা সাজেস্ট করবো যে আপনি প্রথমে এক বা দুইজন টিম হেড নিয়োগ করার মাধ্যমে শুরু করুন। কারণ, টিম মেম্বারদের সংখ্যা এবং কাজ নির্ভর করবে স্ট্র্যাটেজির উপর। তাই আপনাকে শুরুতেই স্পেশালিস্ট নিয়োগ করে তাকে দিয়ে একটি ফুল্প্রুফ কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করাতে হবে। তারপর সেই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী টিমের বাকি অংশ তৈরি করা যাবে।

৩। কাস্টমার অ্যানালিসিস

যেকোনো কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির ঠিক মধ্যখানে থাকে টার্গেট কাস্টমাররা। টার্গেট কাস্টমারদের ঘিরেই আপনার পুরো স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে। আপনার কাস্টমার কারা, তাদের আয়-ব্যয় কেমন, তারা কোথায় বেশি সময় ব্যয় করেন, তাদের সমস্যাগুলো কি কি, তাদের কি ধরণের সমাধান প্রয়োজন ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর খুজে বের করার মাধ্যমে আপনি কাস্টমার অ্যানালিসিস করতে পারবেন।

৪। কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

একটি ওয়েল-ডিফাইনড গোল ছাড়া আপনার স্ট্র্যাটেজি পালবিহীন নৌকার মতো গভীর সমুদ্রে ভেসে যাবে। তাই গোল সেট করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কন্টেন্ট মার্কেটিং করে আসলে কি অ্যাচিভ করতে চাইছেন? সম্ভাব্য উত্তরগুলো হতে পারে

  • যারা একেবারেই আমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানেন না, তাদের প্রথমবারের মতো জানাতে চাই।
  • যারা ইতোমধ্যেই আমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানেন, তাদের আরো আগ্রহী করে তুলতে চাই এবং বিক্রয় বৃদ্ধি করতে চাই।
  • যারা ইতোমধ্যেই আমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করেছেন, তাদের এক্সট্রা ভ্যালু অফার করতে চাই, আবার এটি যেন আফটার সেলস সার্ভিস হিসেবেও কাজ করে।
  • যারা একসময় আমার কাস্টমার ছিলেন কিন্তু এখন ক্রয় করছেন না, তাদেরকে আবারো নিয়মিত কাস্টমারে কনভার্ট করতে চাই।

যেকোনো একটি উত্তর বেছে নিয়ে আপনি আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন।

৫। কন্টেন্ট সিলেকশন এবং ক্রিয়েশন

টার্গেট কাস্টমার এবং তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার পর আপনার কাজ হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং টিম হেডের সাথে আলোচনা করে একটি ভালো কন্টেন্ট জনরা সিলেক্ট করা। এটি হতে পারে ব্লগ, ইনফরমেটিভ ভিডিও, পডকাস্ট বা সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ইত্যাদি। যেই ধরণের কন্টেন্ট আপনার টার্গেট কাস্টমারদের কাছে খুব সহজে পৌছানো সম্ভব, সেটিই সিলেক্ট করুন। আপনি চাইলে একাধিক জনরাও সিলেক্ট করতে পারেন। কন্টেন্ট তৈরি করার ক্ষেত্রে যেই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

  • কন্টেন্টের মাধ্যমে কোনো একটি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করুন। আপনার টার্গেট কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড কি কি সমস্যা ফেইস করেন অথবা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কি কি সমস্যা রয়েছে, সেগুলো আইডেন্টিফাই করুন এবং তা নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করুন।
  • কন্টেন্টের মান ভালো হতে হবে। কন্টেন্ট যেন শুধু জেনেরিক না হয়ে বরং এক্সপার্ট দ্বারা তৈরিকৃত হয়। কন্টেন্টে আপনি যেই সমাধানগুলো দিচ্ছেন, সেগুলো যেন আসলেই ইফেক্টিভ হয় এবং আপনার কাস্টমাররা যেন কন্টেন্ট দ্বারা উপকৃত হন।
  • কন্টেন্টের মাঝে খুব সাটল ওয়েতে নিজের ব্র্যান্ডের বার্তা ঢুকিয়ে দিতে হবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যেন কাস্টমাররা আপনার কন্টেন্ট একটি অ্যাড মনে না করেন। আপনার ব্র্যান্ডের ম্যাসেজ থাকবে তবে তা খুবই সাটলভাবে।

এই ফ্যাক্টরগুলো মাথায় রাখার মাধ্যমে আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং টিম ইফেক্টিভ এবং মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবে।

৬। কন্টেন্ট ডিস্ট্রিবিউশান

মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরি করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। কন্টেন্টের যথাযথ ডিস্ট্রিবিউশান এনশিওর করার মাধ্যমে তা আরো বেশি সংখ্যক কাস্টমারের কাছে পৌছে দেয়া সম্ভব।

যদি ব্লগ কন্টেন্ট তৈরি করেন, তাহলে সঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে এই কাজটি করা যায়। আর যদি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন তাহলে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করতে পারেন।

অর্গানিক মার্কেটিং দিয়ে কন্টেন্টের যথাযথ ডিস্ট্রিবিউশান না’ও হতে পারে। তাই প্রয়োজনে পেইড মার্কেটিং পলিসি গ্রহণ করতে হবে।

কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির ইফেক্টিভিটি যাচাই করবেন কিভাবে?

সাধারণ কিছু মেট্রিকের দিকে তাকালেই আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি কাজ করছে কি না।

১। কাস্টমার এনগেইজমেন্ট

আপনাকে দেখতে হবে যে আপনার কাস্টমাররা কন্টেন্টের সাথে এনগেইজ হচ্ছে কি না। কন্টেন্টে তারা কি কি কমেন্ট করছেন, শেয়ার করছেন কি না ইত্যাদি দিয়ে বোঝা যাবে যে আপনার কন্টেন্টের সাথে তারা ঠিক কতোটা রিলেট করতে পারছেন।

২। কন্টেন্ট ডিস্ট্রিবিউশান

আপনার কন্টেন্ট যথাযথ কাস্টমারদের কাছে পৌছাচ্ছে কি না তা বুঝতে পারবেন যখন আপনি কন্টেন্টের ভিউ কাউন্ট দেখবেন। এছাড়া কন্টেন্ট কারা দেখছেন, কতো সময় ধরে দেখেছেন ইত্যাদি’ও জানা জরুরি।

৩। ক্লিক থ্রু রেট

যাদের নিউজফিডে বা গুগল সার্চে আপনার কন্টেন্ট আসছে, তাদের মাঝে ঠিক কতোজন আপনার কন্টেন্টে ক্লিক করছেন - এটি দেখার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার কন্টেন্ট ঠিক কতোটা আকর্ষণীয়।

৪। বিক্রয় বৃদ্ধি

যেকোনো কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির আল্টিমেট গোল হচ্ছে ব্র্যান্ডের সেলস বৃদ্ধি। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ইমপ্লিমেন্ট করার পর আপনার বিক্রয় আসলে ঠিক কতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আপনার খরচ উঠে আসছে কি না তা জানা খুব জরুরি।

৫। ব্র্যান্ডের ইমেজ পরিবর্তন

যেসব ব্র্যান্ড কাস্টমারদের ভ্যালু দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করে তাদের প্রতি কাস্টমারদের ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। তাই সময়ের সাথে সাথে আপনার ব্র্যান্ডের ইমেজ পরিবর্তন হচ্ছে কি না তা যাচাই করেও কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির সার্থকতা মাপা সম্ভব।

পরিসংহার

ইফেক্টিভ কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ এবং তা ইমপ্লিমেন্ট করার মাধ্যমে ব্র্যান্ডের সাথে কাস্টমারদের অ্যাসোসিয়েশন বৃদ্ধি করা সম্ভব। কাস্টমাররা যেই ব্র্যান্ডের কাছে সবচেয়ে বেশি ভ্যালু পাবে, সেই ব্র্যান্ডের থেকেই তারা বার বার ক্রয় করবে। তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি আপনার সেলস বৃদ্ধি এবং ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি, দুটোর জন্যই বেশ ইফেক্টিভ।

  • https://www.entrepreneur.com/starting-a-business/the-ultimate-guide-to-building-an-effective-digital/450815
  • https://www.semrush.com/blog/content-marketing-strategy-guide/
  • https://blog.hubspot.com/marketing/content-marketing
  • https://interruptmedia.com/the-ultimate-guide-to-implementing-a-content-marketing-program-for-your-business/
  • https://www.yourdigitalresource.com/post/ultimate-guide-to-content-marketing
Next to read
Canvas & Methods
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)
সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস (Social Business Model Canvas)

সামাজিক উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা আরো সহজ করে দেয় সোশ্যাল বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল। মূলত বহুল ব্যবহৃত বিজনেস মডেল ক্যানভাস টুল থেকেই সামাজিক সংগঠনের কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগী করে এই মডেলটি তৈরি করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সামাজিক উন্নয়নে কোনো আইডিয়া এই টুলের মাধ্যমে পর্যালোচনা করে সুনির্দিষ্ট সিন্ধান্তে আসা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
Marketing
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং কেন গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রসমূহ
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
Business
রেড ওশান এবং ব্লু ওশান স্ট্র্যাটেজি (Red Ocean & Blue Ocean Strategy with Example
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
Business
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
ব্রান্ডিং (Branding)
Branding
ব্রান্ডিং (Branding)
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
Sales
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
Analysis
বিজনেস অ্যানালিসিস কী, কেনো, কীভাবে করবেন?
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements
সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি
Accounting
সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটি
Generally Accepted Accounting Principle (GAAP)
Accounting
Generally Accepted Accounting Principle (GAAP)