কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং (Quantitative Easing)
কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং অর্থ তৈরির একটি নতুন পদ্ধতি, যা প্রথম উদ্ভাবন করে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১৯৮৯ সালে। পরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের সময়। কোয়ান্টিটেটিভ ইজিং এর মাধ্যম কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি ব্যাংকিং খাত, বড় কর্পোরেশন এবং সাম্প্রতিক সময়ে সাধারণ জনগণের জন্য ঋণ প্রদান করার জন্য নতুন টাকা তৈরি করে।
সহজ কথায় Quantitative easing (QE) হলো এক ধরনের মুদ্রানীতি, যেখানে একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে বিভিন্ন ধরণের বন্ড বা সিকিউরিটিজ কিনে নেয়। এর উদ্দেশ্য হলো:
- সুদের হার কমানো
- অর্থনীতিতে টাকার সরবরাহ বাড়ানো
এই পদ্ধতিতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন টাকা তৈরি করে ব্যাংকগুলোকে দেয়, যাতে তাদের হাতে বেশি টাকা থাকে। এতে করে ব্যাংকগুলো:
- আরও বেশি ঋণ দিতে পারে,
- মানুষ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হয়।
ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক গতি বেড়ে যায়।
উদাহরণ:
২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময়, যুক্তরাষ্ট্রের Federal Reserve QE চালু করে। তারা শত শত বিলিয়ন ডলারের সরকারী বন্ড কিনে নেয়। এর ফলে ব্যাংকিং সিস্টেমে অতিরিক্ত নগদ টাকা আসে এবং অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায়।
সমালোচনা:
- এটি মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে
- আয় বৈষম্য বাড়ায় (ধনী লোকদের সম্পদ বেড়ে যায়)
- দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতায় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে