ক্ষুদ্রঋণ (Microfinance) সংজ্ঞা, ইতিহাস, এবং এটি কিভাবে কাজ করে

1086
article image

ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থায় পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে স্বল্প পরিমাণ ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা ব্যবসায় শুরু করেন, শিক্ষা ও চিকিৎসায় ব্যয় করেন এবং নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নতি অর্জনের চেষ্টা করেন। এর মাধ্যমে দারিদ্যের হার হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব হলেও রয়েছে ঋণে জর্জরিত হয়ে পরার সম্ভাবনা।

Key Points

  • ক্ষুদ্র ঋণ মূলত কাজ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বল্প আয়ের মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে।
  • অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণ এই ঋণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন, যেমন - ব্যবসা শুরু করা, সম্প্রসারণ করা, শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যয় করা, দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা ইত্যাদি।
  • আধুনিক ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭০’র দশকে, বাংলাদেশের ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের হাত ধরে।
  • ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার প্রধান গ্রহীতারা হচ্ছেন নারী। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের ৮৫ শতাংশ’ই নারী।

ভূমিকা

বর্তমান পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থা এখন এভাবে কাজ করে যে, আপনার ভালো ক্রেডিট রেটিং না থাকলে এবং জামানত হিসেবে রাখার মতো সম্পদ না থাকলে আপনি লোন নিতে পারবেন না। আর আমাদের দেশের মতো দেশগুলো, যেখানে বেশিরভাগ মানুষ উপরের দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেন না, তারা ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের বাইরেই থেকে যান। যার ফলে তারা চাইলেই কোনো ব্যবসায় শুরু করতে পারেন না, বাড়ি তৈরি করতে পারেন না, এমনকি বেচেঁ থাকাটাও হয়ে যায় বেশ কষ্টের।

ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের বাইরে থেকে যাওয়া এই মানুষগুলোর জন্য ক্ষুদ্র ঋণ একটি আশার আলো হিসেবে কাজ করে। ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে এই মানুষগুলো নিজেদের অভাব কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন আবারো দেখতে পারেন। কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ কী, কীভাবে কাজ করে আর বিশ্বে এখন এই বিশেষ ধরণের ঋণ ব্যবস্থা নিয়ে এতো চর্চা আসলে কেনো?

ক্ষুদ্র ঋণ কী?

মাইক্রোফাইন্যান্স’কে বাংলায় বলা হয় ক্ষুদ্র ঋণ। যেসব ব্যবসায় বা ব্যাক্তিবর্গ দেশের ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের বাইরে অবস্থান করেন এবং ট্রেডিশনাল ব্যাংকিং সেবাগুলো থেকে বঞ্চিত হোন, তাদেরকে বিভিন্ন আর্থিক সেবা প্রদান করাই হচ্ছে ক্ষুদ্র ঋণ বা মাইক্রোফাইন্যান্স। ক্ষুদ্র ঋণ মূলত কাজ করে অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বল্প আয়ের মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে স্বল্প আয়ের মানুষদের বিভিন্ন রিসোর্স প্রদান করে সাহায্য করে।

ট্রেডিশনাল ঋণ ব্যবস্থার সাথে ক্ষুদ্র ঋণের কিছু মেজর পার্থক্য রয়েছে, যেমন - জামানত ছাড়াই ঋণের সুবিধা, নিম্ন সুদের হার, স্বল্প পরিমাণ অর্থ এবং ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের বাইরে থাকা জনগণকে ঋণের সুবিধা প্রদান ইত্যাদি। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণ এই ঋণ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেন, যেমন - ব্যবসা শুরু করা, সম্প্রসারণ করা, শিক্ষার উদ্দেশ্যে ব্যয় করা, দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা ইত্যাদি।

ক্ষুদ্র ঋণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

ক্ষুদ্র ঋণের ধারণা নতুন কিছু নয়। অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থ জমানো এবং ক্ষুদ্র পরিমাণে লোন দেয়া বিভিন্ন কালচারে শত বছর ধরে হয়ে আসছে। তবে আধুনিক ক্ষুদ্র ঋণের কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৭০’র দশকে, বাংলাদেশের ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুসের হাত ধরে।

১৯৭৬ সালে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস, একজন অর্থনীতির প্রফেসর, গ্রামীণ ব্যাংক প্রজেক্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। [১] যার মূল কাজ ছিল ব্যবসায় শুরু করার উদ্দেশ্যে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ক্ষুদ্র পরিমাণ ঋণ সহায়ত প্রদান করা। দ্ররিদ্র জনগোষ্ঠীর উপর বিশ্বাস, জবাবদিহীতা এবং তাদের উদ্দ্যেগী মনোভাবের উপর নির্ভর করে এই মডেল তৈরি করা হয়। গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতার মাধ্যমেই সর্বপ্রথম প্রতীয়মান হয়ে ওঠে যে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ঋণ সহায়ত প্রদান করা উচিত এবং এর মাধ্যমে আসলেই দারিদ্র্যের হার হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা সম্ভব।

সেই থেকে ক্ষুদ্র ঋণ এখন একটি বৈশ্বিক মুভমেন্ট হিসেবে রুপ ধারণ করেছে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই হাজার হাজার ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে কাজ করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ২০০৫ সালকে International Year of Microcredit হিসেবে ঘোষণা করে। [২]

ক্ষুদ্র ঋণ কীভাবে কাজ করে?

পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান করে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ক্ষুদ্র ঋণের প্রক্রিয়াটিকে চাইলে নিম্নোক্ত উপায়ে ব্যাখা করা যায়।

১। Group Lending -

যারা ঋণ গ্রহণে আগ্রহী, প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় তাদের বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে। এটি সাধারণত এলাকা বা মহল্লাভিত্তিক করা হয়। গ্রুপের প্রতিটি সদস্যকে আলাদা আলাদা করে একই অথবা বিভিন্ন পরিমাণের অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করা হয়। সবাই নিজ নিজ নিজের দায় বহন করেন, তবে বিষয়টি এমনভাবে কাজ করে যে, কেউ ঋণের অর্থ ফেরত প্রদানে ব্যর্থ হলে গ্রুপের বাকি সদস্যরা মিলে তাকে সাহায্য করেন। এভাবে কমিউনিটি শক্তিশালী হয় এবং কুঋণের পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব হয়।

২। Small Loans -

প্রতিষ্ঠানগুলো খুব অল্প পরিমাণ অর্থ ঋণ হিসেবে প্রদান করে, যেমন - ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা। এই অর্থ ব্যবহার করে ঋণগ্রহীতা একেবারে ছোট মাপের কোনো ব্যবসা শুরু করেন এবং সেখান থেকে আয় করার ও ঋণের টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করেন।

৩। Flexible Repayment -

ট্রেডিশনাল ব্যাংকিং-এর তুলনায় ক্ষুদ্র ঋণ পরিশোধ ব্যবস্থা বেশ নমনীয় হয়। সাধারণত ব্যাক্তিভেদে এই পলিসি পরিবর্তনশীল। ঋণ গ্রহীতা কি পরিমাণ অর্থ আয় করছেন এবং কখন আয় করছেন, তার উপর নির্ভর করে কিস্তির পরিমাণ ও সময় নির্ধারণ করা হয়।

৪। Financial Education -

ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিকভাবে আরো শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা করে। নিজেদের অর্থ সঠিক উপায়ে ম্যানেজ করা ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ বা কর্মশালার আয়োজন করে থাকে।

ক্ষুদ্র ঋণের সুবিধা

পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ঋণের নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো লক্ষ্য করা যায় -

১। দারিদ্র্যের হার হ্রাস -

পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী ঋণ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় শুরু করতে পারে, নিজেদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে এবং সার্বিকভাবে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে। Microcredit Summit Campaign’র তথ্যানুসারে ২০১৮ সালে বিশ্বের ১৩৯ মিলিয়ন দরিদ্র পরিবার বিভিন্ন পরিমাণের ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহণ করেছিলেন। [৩]

২। নারী ক্ষমতায়ন -

ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার প্রধান গ্রহীতারা হচ্ছেন নারী। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের ৮৫ শতাংশ’ই নারী। [৪] ক্ষুদ্র ঋণ পাওয়ার মাধ্যমে নারীরা আর্থিক স্বাধীনতা অর্জনের দিকে অগ্রসর হতে পারেন।

৩। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি -

ক্ষুদ্র ঋণ সাধারণত লোকাল অর্থনীতিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে অনেকের কর্মসংস্থান তৈরি হয় এবং কমিউনিটির আয় বৃদ্ধি পায়।

৪। সামাজিক প্রভাব -

ক্ষুদ্র ঋণের অর্থনৈতিক প্রভাবের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক প্রভাব’ও রয়েছে। যেমন - শিক্ষা ও চিকিৎসা। ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের অনেকেই শিক্ষা ও চিকিৎসা অর্থ ব্যয় করেন, যার মাধ্যমে তাদের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।

ক্ষুদ্র ঋণের অসুবিধা

ক্ষুদ্র ঋণের সমালোচকদের মতে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ আশির্বাদের পরিবর্তে অভিশাপ হয়ে উঠতে পারেন। যেমন -

১। ঋণের ভারে জর্জরিত -

ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় এই যে, গ্রহীতারা খুব সহজেই অধিক ঋণ জর্জরিত হয়ে উঠতে পারেন, যা তাদের পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব হয় না। ফলে ঋণের দুষ্টু চক্রে আটকে গিয়ে তাদের সম্পদ হারানোর মতো পরিস্থিত তৈরি হয়।

২। অধিক সুদের হার -

বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান অল্প সুদের হার চার্জ করলেও, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অধিক সুদের হার চার্জ করে থাকে। আর আর্থিক শিক্ষার অভাবে পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর মানুষেরা এটি প্রথমে বুঝতে পারেন না। অনেক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই বার্ষিক ১০০% পর্যন্ত হারে সুদ গ্রহণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। [৫]

৩। লোন শার্ক এবং তাদের অত্যাচার -

লোন শার্ক বলতে সাধারণত কুসীদজীবী বা রক্তচোষা মহাজনদের বোঝানো হয়। তারা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অভাবকে কাজে লাগিয়ে অল্প পরিমাণ ঋণ দিয়ে চড়া সুদ আদায় করে নেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ঋণের টাকা ফেরত না পেলে তারা মানুষের সম্পদ জবরদখল করে নেয়। এতে করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি হ্রাস না হয়ে আরো বৃদ্ধি পায়।

৪। দারিদ্র্যতা হ্রাসে সীমিত প্রভাব -

সমালোচকদের মতে, দারিদ্র্যের সমস্যা সমাধানে ক্ষুদ্র ঋণ আল্টিমেট সমাধান হতে পারে না। বিশ্ব ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত একটি স্টাডি থেকে জানা যায়, ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্যের সমস্যা সমাধানে বেশ সীমিত প্রভাব রাখে এবং এই সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যান্য অল্টারনেটিভ, যেমন - সুশিক্ষা, সুচিকিৎসার উপর বেশি ফোকাস করা উচিত। [৬]

ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ

ক্ষুদ্র ঋণের ভবিষ্যত একই সাথে আশাব্যাঞ্জক এবং অনিশ্চিত, উভয়ই। প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উপর বেশি জোর দেয়া হচ্ছে, এই থেকে বোঝা যায় যে, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা আগামী সময়েও বৈশ্বিক উন্নয়নে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এখন প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং’র মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে ঋণ সেবা পৌছে দেয়ার কাজ করছে।

অপরদিকে, বিশেষজ্ঞগণ এই নিয়ে চিন্তিত যে, ক্ষুদ্র ঋণের বাণিজ্যিকীরণের মাধ্যমে এই মডেলের কার্যকারিতা লোপ পাবে। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে এই সেক্টরে ইতোমধ্যেই প্রচুর পরিমাণ প্রতিষ্ঠান গরে উঠেছে, যাদের মূল উদ্দেশ্য সামাজিক উন্নতি নয়, বরং মুনাফার সর্বাধিকীকরণ।

আবার দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে ট্রেডিশনাল ব্যাংকিং সেবা পৌছাতে শুরু করেছে, যার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের চাহিদা আগামী সময়ে হ্রাস পেতে পারে। তবে যতোদিন বিশ্বে এমন জনগোষ্ঠী আছে, যারা ট্রেডিশনাল ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টরের বাইরে অবস্থান করেন, তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা টিকে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞগণ আশাবাদী।

পরিসংহার

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শুরু হয়ে বর্তমানে একটি বৈশ্বিক আকার ধারণ করা ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে। পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেশ বড় ভূমিকা পালন করলেও, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থা’ও রয়েছে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ। বিশ্বের দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাইলে অবশ্যই ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উপরিউক্ত সমস্যাগুলোর সমাধান নিশ্চিত করতে হবে।

  • https://www.investopedia.com/terms/m/microfinance.asp
  • https://poonawallafincorp.com/blogs/how-microfinance-works.php
  • https://group.bnpparibas/en/news/history-microfinance-small-loans-big-revolution
  • https://www.herofincorp.com/blog/what-is-microfinance
  • https://corporatefinanceinstitute.com/resources/commercial-lending/microcredit/
  • Facts and Statistics Sources
  • ১। http://grameenresearch.org/history-of-grameen-bank/
  • ২। https://www.yearofmicrocredit.org/
  • ৩। https://www.convergences.org/en/119115/
  • ৪। https://www.ilo.org/media/130221/download
  • ৫। https://www.bloomberg.com/graphics/2022-microfinance-banks-profit-off-developing-world/
  • ৬। https://documents.worldbank.org/en/publication/documents-reports/documentdetail/284801468013215718/microfinance-and-poverty-evidence-using-panel-data-from-bangladesh
Next to read
Business Models
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)
অ্যাড অন মডেল (Add On Model)

অ্যাড অন মডেলে মূলত কোনো একটি পণ্য বা পরিসেবার জন্য বাজারে অন্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্য (কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিনামূল্য) নির্ধারণের মাধ্যমে গ্রাহক চাহিদা সৃষ্টি করা হয়। আর পণ্য বা সেবাটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয় যেন গ্রাহক মনে ঐ নির্দিষ্ট পণ্য বা পরিষেবার বাইরেও ঐ পণ্য সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত ফিচার কিংবা সেবার প্রতি প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়। এর ফলে গ্রাহক ঐ পণ্যটির বাইরেও অন্যান্য পরিষেবা গুলোও অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করে। এভাবে এই অ্যাড অন বিজনেস মডেল টি মূলত কাজ করে থাকে।

বেইট এন্ড হুক মডেল  (Bait & Hook Model)
Business Models
বেইট এন্ড হুক মডেল (Bait & Hook Model)
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
Business
Needs, Wants, Demands (প্রয়োজন, চাওয়া এবং চাহিদা)
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
Business
মোট মুনাফা (Gross profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং উদাহরণ
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
Business
নিট মুনাফা (net profit) সংজ্ঞা, সূত্র এবং কিভাবে হিসাব করবেন
অর্থনীতি কী?
Economics
অর্থনীতি কী?
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
Sales
সেলস ফানেল বা বিক্রয় ফানেল কি?
‘SWOT’ Analysis
Analysis
‘SWOT’ Analysis
সেলস টার্গেট অর্জনের জন্য ১০টি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ টিপস
Sales
সেলস টার্গেট অর্জনের জন্য ১০টি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ টিপস
World Trade Organization (WTO) Agreements
Agreement
World Trade Organization (WTO) Agreements