পাম্প এন্ড ডাম্প কি?

"পাম্প এবং ডাম্প" - ফাইন্যান্সিয়াল বাজারের একটি বিশাল প্রতারণামূলক স্কিম। সাধারণত, পাম্প এর ফাংশন বলতে আমরা বুঝি কোনো কিছু উত্তোলন করা বা ওপরে ওঠানো। আর, এখানে, ডাম্প বলতে কোনো কিছুর ভ্যালুকে হঠাৎ নিচে নামিয়ে ফেলাকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আর Pump and Dump স্ক্যামে প্রকৃতপক্ষে এই ঘটনাই ঘটছে।
Key Points
- পাম্প এন্ড ডাম্পের মাধ্যমে প্রতিবছর মিলিয়ন টু বিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিচ্ছে স্ক্যামাররা
- ইতিহাসের অন্যতম বড় পাম্প এন্ড ডাম্প, কার্সন ব্লক, রেকর্ড হয় চায়নাতে
- ইমেইল, সোশ্যাল মিডিয়া, ফ্রড চ্যাট রুমের আড়ালে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের
- বিভিন্ন জনপ্রিয় পাবলিক ফিগ্যার সরাসরি স্ক্যামিং এর সাথে জড়িত
- সর্বশেষ বিগেস্ট স্ক্যাম হয় ২০২২ সালে, যেখানে ৬ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ এর ঘটনা ঘটে
ভূমিকা
মাত্র দুই বছর আগের ঘটনা, সাল ২০২১, হঠাৎ করেই কিছু বেনামী ওয়েব ডেভেলপার টিম "স্কুইড গেইম" নামে একটি অনলাইন গেইম চালু করে। এক্সাইটিং সব গেইম গুলো খেলার জন্য হাজার হাজার মানুষ কিনে নেয় টোকেন। গেইমে জিততে পারলে পুরস্কার ৪.১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কেটেও দেখা যাচ্ছিলো টোকেন কেনার প্রচুর ডিমান্ড।
কিন্তু, কিছুদিন পরেই মানুষ উপলব্ধি করলো গেইম গুলো খুবই নিখুঁত ভাবে তৈরী। হাজার চেষ্টা করেও জয়ী হওয়া অসম্ভব। আবার টোকেন বিক্রি করতে গেলে, দেখা গেল মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪,৩০০,০০০% বেড়ে যাওয়া সেই টেকেনের প্রাইস এখন একদম শূন্য! অবশেষে, টোকেনের ভূয়া ডিমান্ড বাড়ানো স্ক্যামারা, ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে একদম নিরুদ্দেশ। এটাই ছিল নেটফ্লিক্স শো থেকে অনুপ্রাণিত, সাম্প্রতিক সময়ের অনত্যম বড় পাম্প এন্ড ডাম্প স্ক্যাম, "Squid-USD"।
এখানেই শেষ নয়, যুগে যুগে Pump and Dump এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ঘটেছে। ডিজিটালাইজেন, অনলাইন ডিলিং আর ক্রিপ্টো কারেন্সির যুগে এই স্ক্যাম কন্ট্রোল করা আরো চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।
পাম্প এন্ড ডাম্প কি?
এখানে অপরাধীরা কৃত্রিমভাবে একটি স্টক বা কোনো সম্পদের মূল্য, মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে অনেক বাড়িয়ে তোলে। একবার দাম কৃত্রিমভাবে স্ফীত (inflate) হয়ে গেলে অনেক বিনিয়োগকারীরা স্টক কেনার জন্য ছুটে আসে। এবং এই সুযোগে স্ক্যামাররা তাদের হোল্ডিং গুলো উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে, যার ফলে আবার দাম কমে যায়। শেষমেশ, বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়, আর স্ক্যামাররা, মূল্যের হেরফের করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এখানে, মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে স্টক প্রাইস ও ডিমান্ড বাড়ানো টাই ছিল, "পাম্প"। আর পূনঃরায় দাম কমে যাওয়ার ঘটনাটা ছিল " ডাম্প"।
সহজ কথায়, Pump and Dump হল, মানুষকে উচ্চ মূল্যে কিছু কেনার জন্য প্রতারণার মাধ্যমে প্রলুব্ধ করা। তারপর সেই বাড়তি মূল্যে নিম্ন মানের বা কম দামের জিনিস গুলো বিক্রি করা। অর্থাৎ অন্যদের কাছে অকেজো সম্পদ রেখে বেআইনি এবং অনৈতিক ভাবে মুনাফা করা।
আর এই স্ক্যামিং অনলাইন এবং অফলাইনে চলে আসছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের একদম শুরুর দিক থেকেই। ১৯৯০ সালের বড় বড় দুটি পাম্প এন্ড ডাম্প ঘটনায় ৮ বিলিয়নের অধিক ডলার স্ক্যাম হয়। ২০০১ সালে Enron স্ক্যান্ডাল পুরো বিশ্বকে হতবার করে দেয়। ২০২৩ সালে এসে অনলাইন স্ক্যামিং, স্পাম ইমেল, ইনভেস্টমেন্ট ওয়েবসাইট গুলো এখন আরো ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে।
পাম্প এন্ড ডাম্প কিভাবে কাজ করে?
পাম্প এন্ড ডাম্প মূলত একটি চক্র বা দল একত্রে করে থাকে। তিনটি ধাপ ফলো করে এই স্ক্যাম টি করা হয়-
পাম্প ফেজ:
স্ক্যাম টি শুরু হয় একদল অসাধু লোক বা ইনডিভিজুয়াল কোনো কোম্পানির মাধ্যমে। যাদের কাছে একটি নির্দিষ্ট স্টক বা ক্রিপ্টোকারেন্সির উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সংগ্রহ থাকে।
তারা সামাজিক মিডিয়া, অনলাইন ফোরাম এবং ইমেল প্রচারণার মতো বিভিন্ন উপায়ে এই সম্পদের প্রচার করা শুরু করে। এরা মূলত অ্যাসেট বা স্টক গুলো নিয়ে চারপাশে একটি গুঞ্জন তৈরি করে। অর্থাৎ, বিভ্রান্তিকর বা অতিরঞ্জিত তথ্য ছড়িয়ে আগ্রহ তৈরী করে।
অতঃপর, হাইপ, চাহিদা এবং ট্রেডিং ভলিউম বৃদ্ধির কারণে আরও বেশি লোক এই প্রোপার্টির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে, যার ফলে এগুলোর দাম বেড়ে যায়।
ডাম্প ফেজ:
একবার দাম কৃত্রিমভাবে স্ফীত (inflate) হয়ে গেলে এবং একটি নির্দিষ্ট লেভেলে পৌঁছে গেলে, স্ক্যামাররা তাদের হোল্ডিংগুলি প্রচুর পরিমাণে বিক্রি করতে শুরু করে।
সাপ্লাইয়ের এই আকস্মিক বৃদ্ধির ফলে অ্যাসেট এর দাম দ্রুত কমে যায়। যার ফলে পাম্পের সময়ে বিনিয়োগকারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
স্ক্যামারদের লাভ:
স্ক্যামাররা পাম্প ফেজের সময় চড়া মূল্যে তাদের সম্পদ বিক্রি করে যথেষ্ট মুনাফা করে। আর অধিকাংশ সময়ে দাম ক্র্যাশ হওয়ার আগে তারা মার্কেট থেকে বেরিয়ে যায়। আর যারা পাম্পের ফাঁদে পরে স্টক কিনেছেন তাদের কাছে
মূল্যহীন সম্পদ রয়ে যায়।
পাম্প এন্ড ডাম্পের ধরণ
পাম্প এবং ডাম্প অনলাইন, অফলাইন, টোকেন কিংবা প্রেস অনেকভাবে করা সম্ভব। সবচেয়ে বেশি প্র্যাকটিস হওয়া পাম্প এন্ড ডাম্প গুলো হল-
ক্লাসিক পাম্প এবং ডাম্প:
এটি সবচেয়ে কমন স্ক্যাম, যেখানে প্রতারকরা স্টক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে।
স্ক্যামাররা তাদের হোল্ডিং বিক্রি করার আগে এই হাইপ, চাহিদা এবং দাম বাড়িয়ে দেয়। এবং অধিক লোক কারেন্সি নেয়ার পর অটোমেটিক দাম কমে যায়। ফলে স্ক্যামাররা লাভ করলেও সাধারণ বিনিয়োগকারীর রা বিরাট ক্ষতির মুখে পরে।
Wolf of Wall Street, কার্সন ব্লক, ১৯৯০ সালের Bre-X Minerals, ২০০১ এর Enron, ক্লাসিক পাম্প এন্ড ডাম্পের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বাস্তব উদাহরণ।
ইমেল বা নিউজলেটার পাম্প এবং ডাম্প:
স্ক্যামাররা অনেক সময়ে একটি নির্দিষ্ট ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটি সম্পর্কে বানোয়াট তথ্য সম্বলিত ম্যাস ইমেল বা নিউজলেটার পাঠিয়ে থাকে। তারা সাধারণত, একটি "হট টিপ" প্রচার করে এবং প্রাপকদের মধ্যে তারাতাড়ি এগুলো কেনার জন্য একটা হাইপ তৈরী করে। এখনই না কিনলে শেষ হয়ে যাবে, কিংবা এমন ভাল জিনিস হয়ত আর পাওয়া যাবে না, এই ধরনের বিভ্রান্তি তৈরী করে।
২০০৭ সালে, "Stock Guru" স্ক্যাম ছিল ওই সময়ের সবচেয়ে বড় ইমেল পাম্প এন্ড ডাম্প স্কিম। এই গ্রুপ টি ভুয়া ইমেইল এর মাধ্যমে অবিশ্বাস হারে স্টক প্রাইস ইনফ্লেট করেছিল। গ্রুপটি ইন্ডিয়া ভিত্তিক হলেও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রচুর মানুষকে ফাঁদে ফেলে ভুয়া স্টক বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিল।
চ্যাটরুম এবং ফোরাম পাম্প এন্ড ডাম্প:
প্রতারকরা এখন স্টক বা ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রচার করতে অনলাইন চ্যাটরুম, ফোরাম বা সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপগুলোতে মিশে যায়। তারা অন্যদের বিনিয়োগ করতে রাজি করার জন্য অনেক ধরনের কনভিন্সিং স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করে।
যেমন, তারা কয়েকজন মিলে কোনো টেলিগ্রাম গ্রুপ কিংবা ক্রিপ্টো, স্টক মার্কেট গ্রুপে গিয়ে মিথ্যা সাফল্যের গল্প বলে। একে একে অনেকের কাছে সাফল্যের কথা শুনে অন্যরাও লাভের আসা বিনিয়োগ করে এবং ফাঁদে পরে।
এইধরনের পাবলিক চ্যাটরুম এর সংখ্যা এখন অনেক বেশি তাই এগুলেকে আইডেন্টিফাই করাও মুশকিল। এরই সুযোগ নিয়ে " Profitable Sunrise " নামের স্ক্যামিং গ্রুপটি ২০১৩ সালে সবচয়ে বেশি সময় নিয়ে ও বিশ্বাস অর্জন করে বড় ধরনের স্ক্যামিং করে ও নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
সেলিব্রিটি এনডোর্সমেন্ট পাম্প এবং ডাম্প:
কিছু স্ক্যিমে সেলিব্রিটি বা পাবলিক ব্যক্তিত্বদের আড়ালে স্ক্যামিং করা হয়। অর্থাৎ তাদের সাথে কোনে ফেমাস সেলিব্রিটিকে কনট্র্যাক সাইন করায় এবং তাকে দিয়ে প্রচারণা চালায়। ফলে, মানুষের কাছে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আবারও ফাঁদে পা দেয়।
২০১৭ সালে, বক্সার Floyd Mayweather এবং মিউজিক প্রোডিউসার, DJ Khaled এর স্ক্যান্ডাল অন্যতম সারা জাগানো সেলিব্রিটি স্ক্যাম। ভূয়া ইনিশিয়াল কয়েন অফারিং এর দায়ে তাদেরকে U.S section (ICOs) এর আন্ডারে গুরুতর শাস্তি দেয়া হয়।
মিথ্যা সংবাদ বা প্রেস রিলিজ:
স্ক্যামাররা জাল সংবাদ, আর্টিকেল বা প্রেস রিলিজ তৈরি করে যেখানে একটি কোম্পানি বা ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে ইতিবাচক বা প্রোমোশনাল তথ্য থাকে। এই মিথ্যা তথ্য মানুষের মধ্যের বায়িং ক্রেজকে আরও ট্রিগার করে।
১৯১৮ সালে, "Longfin Crop" নামক বিশ্ববিখ্যাত একটি ফিনটেক কোম্পানি ভুয়া প্রেসের মাধ্যমে ক্রিপ্টো কারেন্সি, ব্লক চেইন ও স্টক হাইপ দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে হাজার হাজার বিনিয়োগকারী সর্বস্ব হারায়। তবে খুব শীগ্রই শাস্তির আওতায়ও আনা হয়।
প্রি-আইপিও পাম্প এবং ডাম্প:
এই ভেরিয়েন্টে, স্ক্যামাররা কোনো একটি কোম্পানির শেয়ার এর অ্যাক্সেস তাদের কাছে আছে বলে দাবি করে। ওই কোম্পানি নিজেরা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও) করার আগেই স্ক্যামারা এই কাজ করে। বিভিন্ন ছাড়, অফিশিয়াল প্রাইজের থেকে কম প্রাইজে কেনার সুযোগ ইত্যাদি বুঝিয়ে বিনিয়োগকারীদের অর্থ হাতিয়ে নেয়। এবং কোম্পানি কর্তৃক শেয়ার মূল মার্কেটে আসলে, ফ্রড গ্রুপগুলো নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
পাম্প টোকেন:
ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে, কিছু টোকেন, শুধুমাত্র পাম্প করা এবং ডাম্প করার উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়। এই টোকেনগুলির অধিকাংশ সময়ে খুবই সামান্য প্রাইজ থাকে বা অনেক সময়ে কোনও মূল্যই থাকে না। কিন্তু কৃত্রিম পাম্প দেখে অনেকেই স্ক্যামিং এর জালে পরে।
পাম্প এন্ড ডাম্প এড়ানের উপায়
বেশ কিছু স্ট্র্যাটেজি আছে যেগুলো অনুসরণ করে পাম্প এন্ড ডাম্প এড়িয়ে চলা সম্ভব -
নিজে গবেষণা করুন:
যেকোনো সম্পদে বিনিয়োগ করার আগে সর্বদা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে গবেষণা করুন। মূল কনটেন্ট, প্রোজেক্টের পিছনের টিম এবং এর রিয়েল ওয়ার্ল্ডে এই স্টকের বাস্তব সম্ভাবনাগুলো আইডেন্টিফাই করুন।
হাইপ থেকে সাবধান:
সোশ্যাল মিডিয়া বা অযাচিত ইমেলের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত টোকেন বা স্টক থেকে সতর্ক থাকুন। কারণ, পাম্প এবং ডাম্প স্কিমগুলো তে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য ভুয়া হাইপ তৈরির করা হয়।
ক্রেডিবিলিটি চেক করুন:
আপনি যেই তথ্যের ওপর বিশ্বাস করে ইনভেস্ট করবেন তার উৎসের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করুন। বিশ্বস্ত ফাইন্যান্সিয়াল নিউজ সোর্স এবং অফিসিয়াল কোম্পানির এনাউন্সমেন্ট গুলো বেনামী গ্রুপ গুলোর চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য।
প্রেসার এড়িয়ে চলুন:
চাপে পড়ে বা তাড়াহুড়ো করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ, স্ক্যামাররা সবসময় আপনাকে আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্তের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য একটা আর্টিফিশিয়াল প্রেসার তৈরী করে।
উপসংহার
মার্কেট এক্সপার্ট রা প্রায়শই একটা কথা বলেন, তা হল, "বিনিয়োগকারীরা সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে আর তাদের লাভের কোন নিশ্চয়তা নেই।"
প্রচন্ড প্রতিযোগিতাময় মার্কেটে টিকে থাকার প্রচেষ্টা, যেকোনো মূল্যে মুনাফা লাভের আকাঙ্খা, স্ক্যামিং এর মত অনৈতিক কাজ গুলোকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফলে, কে অসাধু আর কে বিশ্বাসযোগ্য তা আলাদা করা নিয়ে ইনভেস্টরা সর্বদা রিস্কের মধ্যে থাকে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই, ১,০৬,০০০ আমেরিকান বিনিয়োগকারী ৬ বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে। প্রতিবার নতুন নতুন আইন প্রনয়ণ, সিকিউরিটি ডেভেলপমেন্ট করেও পুরোপুরি দমানো যাচ্ছে না Pump and Dump স্ক্যামিং।
কারণ, স্ক্যামিং এড়িয়ে চলার প্রথম স্টেজ ব্যক্তির নিজের সর্তকতা। অতিরিক্ত আবেগপ্রবণতা, প্রেসার নিয়ে ডিল করা, তথ্য যাচাই না করা, হুজুকে পরে স্টক কেনা- এই সকল অসতর্কতা বাদ দিতে পারলেই ৮০ শতাংশ স্ক্যামিং কমে যাবে বলে ধারণা করছেন, আমেরিকার মার্কেট বিশ্লেষক রা।
- https://www.comparitech.com/blog/information-security/investment-scams/
- https://finance.yahoo.com/news/biggest-pump-dump-scheme-ever-123048530.html
- https://en.wikipedia.org/wiki/Pump_and_dump
Next to read
কাস্টমার এক্সপ্লোরেশন ম্যাপ (Customer Exploration Map)


বি-টু-বি, বি-টু-সি এবং বি-টু-জি কি? (B-to-B, B-to-C, B-to-G)

লোগোর প্রকারভেদ (Types of Logos)

ইক্যুইটির সংজ্ঞা এবং অর্থ

রিব্র্যান্ডিং (Rebranding)

এঞ্জেল বিনিয়োগ কি? এবং কিভাবে কাজ করে (What is angel investing & how does it work?)

‘SWOT’ Analysis

বিক্রয় বৃদ্ধি করার ৬টি নীতি

সেলস টার্গেট অর্জনের জন্য ১০টি বডি ল্যাঙ্গুয়েজ টিপস
